এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এলার্জির জন্য কোন ওষুধ ভালো - কোন সাবান শরীরের জন্য ভালো সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।

শরীরে নানা রকম জীবাণুর কারণে চুলকানির দেখা যায়। শরীর পরিষ্কার না রাখার জন্য চুলকানি ওঠে শরীরে। তাই নিয়মিত শরীর পরিষ্কার রাখা উচিত। শরীর পরিষ্কার রাখার জন্য ও চুলকানি দূর করার জন্য সাবান ব্যবহার করতে হয়। যে সাবান গুলো ব্যবহার করলে শরীর পরিষ্কার থাকে ও চুলকানি ওঠেনা সেগুলোর নাম হলো :

* ডেটল সাবান : ডেটল সাবান হল শরীরে জীবাণু থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। চুলকানির কারণে এই সাবান ব্যবহার করলে চুলকানি ভালো হয় ও শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে থাকে।

*Dxn Ganozhi Soap : এই সাবানটি উচ্চ ঔষধি গুন সম্পূর্ণ গ্যানোডার্মা মাশরুম ও পাম অয়েল নির্যাসে তৈরি। যা শরীরে চুলকানি ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। এই সাবানটিতে কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। তাই দ্রুত চুলকানি ভালো করতে সাহায্য করে। ত্বকে সতেজ ও মসৃণ করে তোলে এই সাবান ব্যবহার করে।

চর্মরোগ একই ধরনের কিন্তু বিভিন্ন ধরনের পর্যায় থেকে থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তার যেটা সাজেস্ট করবে সেটা ব্যবহার করা উচিত। সাবান আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। আবার কোন কোন সাবানের ফলে চর্মরোগ হতে পারে। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে সুগন্ধযুক্ত সাবানের ফলে চর্মরোগ হয়ে থাকে।

যে সাবান গুলো ব্যবহার করলে চর্মরোগ ভালো হয় সে সাবান গুলোর নাম হল :

* Himalaya Aactaril Soap : এই সাবানটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে চর্ম রোগের জন্য। শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, চুলকানি, ছত্রাক ও বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে।

* ketoscapl Soap : এই সাবানটি চর্ম রোগের সকল ধরনের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে থাকে। চর্ম রোগের যত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার রয়েছে এই সাবান ব্যবহার করলে দূর হয়ে যায়। তাই যারা চর্ম রোগে আক্রান্ত তারা এই সাবান ব্যবহার করলে দ্রুত চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাবে। এই সাবানটি চড় মারা ভালো করতে দ্রুত কার্যকারি।

এলার্জির জন্য নানা রকম সাবান ডাক্তার সাজেস্ট করে থাকে।ত্বক শুষ্কতা থেকে বাঁচাই ত্বক মসৃণ করে তোলে। নিচে কয়েকটা এলার্জি সাবান এর নাম লিখা হলো

এটা হল এলার্জির সাবান। যাদের প্রচুর এলার্জি হয়ে থাকে তাদেরকে ডাক্তার এ সাবান সাজেস্ট করে থাকে। যাদের শরীরে অনেক বেশি এলার্জি হয় সারা শরীর চুলকায় তাদের জন্য এই সাবানটি অনেক ভালো কাজ করে। মালয়েশিয়ার একটি বিখ্যাত সাবান নামে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই সাবানটি । শরীরের যত রকমের এলার্জি আছে এই সাবন টি দূর করে থাকে। শরীরের সব ধরনের চুলকানি দূর করার জন্য এই সাবান ভালো উপকারিতা দেয়। এ সাবানটি ব্যবহার করলে নিয়ম অনুযায়ী অল্প সময়ের মধ্যে এলার্জি দূর হয়ে যায়। তাই অতি তাড়াতাড়ি এই সাবান ব্যবহার করে নিমিষেই দূর করে ফেলুন আপনার শরীরের এলার্জির সমস্যা।

প্রচুর গরমে নানা রকম গায়ে চুলকানি বা এলার্জি বের হয় ।গাল ঘাড় কোমর নানা রকম রানের চিপায় এলার্জিজনিত চুলকানিই বের হয়ে থাকে । এই সাবান ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক না করে ত্বক মসৃণ করে তোলে। এই সাবানটি ত্বকের যেকোনো এলার্জি দূর করতে শতভাগ কার্যকরী। এই সাবান ব্যবহার করলে শরীর পরিষ্কার করে থাকে। শরীরের জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। ছোট থেকে বৃদ্ধ সবাই এই সাবানটি ব্যবহার করতে পারবে। কিছু নিয়ম রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবহার করলে দ্রুত এলার্জি ভালো করতে সাহায্য করে থাকে এই সাবান।

গোসলের জন্য অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া সাবান ব্যবহার করা উচিত। এন্টি ব্যাকটেরিয়া যুক্ত সাবান গুলো শরীরের ব্যাকটেরিয়া মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। অন্যান্য সুগন্ধি যুক্ত সাবান বা ক্ষারযুক্ত সাবান ত্বকে শুষ্ক করে ফেলে। প্রত্যেকের ত্বক আলাদা তাই একজন ব্যক্তির জন্য যে সাবান কাজ করবে অন্যজনের জন্য নাও করতে পারে। তাই ত্বকের ধরন বিবেচনা করে সাবান ব্যবহার করা উচিত। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে ময়শ্চারাইজার সাবান ব্যবহার করা উচিত।

নিচে কিছু ভালো সাবানের নাম উল্লেখ করা হলো

* বডি শপ শিয়া সাবান :যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের জন্য এই সাবানটি ভালো উপকার করে থাকে। কারণ এই সাবানে রয়েছে শিয়া মাখন এবং পুষ্টিকর তেল দিয়ে সমৃদ্ধ একটি সাবান। তাই এই সাবানটি গোসলের জন্য চমৎকার কাজ করে থাকে।

* প্রাইমিটি বিউটি বার : এই সাবানটি শুষ্ক ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য দ্রুত কাজ করে থাকে। এই সাবানটি মশ্চারাইজিং এবং হালকা মৃদু। তাই এই সাবানটি আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন।

ময়শ্চারাইজিং সাবান সবসময় শরীরের জন্য উপকারী। তাই সব সময় ময়শ্চারাইজিং জাতীয় সাবানগুলো ব্যবহার করতে হবে। যেমন অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা জেল, গ্লিসারিন, শিয়া বাটার, এই সাবান গুলো মশ্চারাইজিং সাবান। এসব উপাদান যুক্ত সাবানগুলো ত্বক কে করে তোলে কমল ও নমনীয়। শীতকালে ব্যবহার করার জন্য ময়শ্চেরাইজিং সাবান গুলো বেশি উপকার দিয়ে থাকে। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা সারা বছরই ব্যবহার করতে পারবেন।

সাবান হলো পরিচ্ছন্ন থাকার একটি বিশেষ উপকারী উপাদান। সবার ত্বক এক নয় তাই বলা হয় ত্বক অনুযায়ী সাবান ব্যবহার করা উচিত। ত্বকের জন্য সব সময় অ্যালোভেরা, কোকো মাখন, অ্যাভোকাডো বা উজ্জ্বল তেল রয়েছে এমন সাবান ব্যবহার করা উচিত।     

নিচে কিছু সাবানের নাম দেওয়া হল :

* অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল সাবান :

এই সবার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ত্বক জ্বালাপোড়া করতে পারে। এই সাবানে রয়েছে ট্রাইক্লোসান বা ট্রাইক্লো কার্বনের মতো উপাদান।

*ভেষজ সাবান :

এই সাবানে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন যা শরীরের র‍্যাডিকেল গুলোকে দূরে রাখে। ত্বককে উজ্জ্বল ও পুনরুত জীবন ফিরে আনে।

* ময়শ্চারাইজিং সাবান :

এই ধরনের সাবান সব সময় ত্বককে আদ্র রাখে। সবচেয়ে ভালো রাখে শুষ্ক যাদের ত্বক । এই সাবানে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে তেল। যেমন ক্রিম, কোকো বাটার, ইত্যাদি উপাদান। আশা করি কোন সাবান শরীরের জন্য ভালো জানতে পারলেন ।

বাচ্চাদের জন্য সব সময় হালকা ক্ষার যুক্ত সাবান গুলো বেশি উপকারী। গ্লিসারিন যুক্ত সাবান গুলো বাচ্চাদের ব্যবহার করানো উচিত। বাচ্চার বয়স যখন ছয় মাস তখন সরাসরি সাবান ব্যবহার করা যাবে। বাচ্চাদের ত্বক সবসময় কোমল হয়। বাচ্চাদের ত্বক জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই বাচ্চাদের জন্য যে সাবান গুলো ব্যবহার করা উচিত সেই সাবানগুলো ব্যবহার করাতে হবে।

নিচে বাচ্চাদের কয়েকটি সাবানের নাম উল্লেখ করা হলো :

*Johnson baby soap: এই সাবানটি ব্যবহারে শিশুর ত্বককে আলতো ও পরিষ্কার করে থাকে। শিশুর ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে। এই সাবানটি মশ্চারাইজিং সাবান। এই সাবানটি শিশুর মুখসহ পুরা শরীরে ব্যবহার করাতে পারবেন।

*Himalaya baby soap: এই সাবানটি প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি। এই সাবানে রয়েছে নিম ও হলুদের গুনাগুন। শিশুর শরীরের শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে নিম । হলুদ বাচ্চার ত্বককে কোমল করতে সাহায্য করে থাকে। এই সাবানটি বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত। তাই এই সাবানটি বাচ্চার জন্য সুরক্ষিত।

*Baby dove rich moisture Soap : এই সাবানটি মৃদু ও পুষ্টিকর সাবান। এই সাবানটি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত তাই শিশুর কোন প্রকার ক্ষতি করবে না। যাদের একজেমা আছে তাদের জন্য এই সাবানটি উপযুক্ত একটি সাবান। শিশুর কোনরকম ক্ষতি করবে না।

এলার্জির জন্য চিকিৎসকরা সবসময় এন্টিবায়োটিক ওষুধের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মধ্যে অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে যেমন এ

*Fenadine

*Rupatadine 10 mg (rupa/rupatrol/duvent)

*Chlorpheniramine 4 mg (histacin/histal/histagen)

*Citirizine 10 mg (alatrol/artizin/cetizin)

*Loratadine 10 mg ( loratadine/ loratine/pretin)

এলার্জির ওষুধের ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত। আশা করি এলার্জির জন্য কোন ওষুধ ভালো জানতে পারলেন ।

ব্রণ যে সব জায়গায় ওঠে সাধারণত সে সব জায়গায় ব্রণের সাবান ব্যবহার করা উচিত। তাই ব্রনের সাবান ব্যবহার করার নির্দিষ্ট সময়সীমা ও নিয়ম কানুন রয়েছে। তাই চিকিৎসক যে অনুযায়ী যে সাবান ব্যবহার করতে বলবে সেভাবেই ব্যবহার করা উচিত। ব্রণের জন্য সবচেয়ে ভালো সাবান হল অ্যান্টি -আ্যকনে ।

ব্রনের জন্য যে সাবান গুলো ভালো সেগুলোর নাম হল :

*Charcoal Soap :

এই সাবানে রয়েছে পিওর অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল, ফিল্টার ওয়াটার এবং কাস্টর অয়েল। এই উপাদান গুলো ত্বককের সমস্যা দূর করে ভূমিকা পালন করে থাকে।

*Dxn ghanozhi Soap:

এই সাবানের মূলে রয়েছে পামওয়েল ওমাশরুম । একবারে প্রাকৃতিক ন্যাচারাল উপাদান এগুলো। আরো রয়েছে ভিটামিন সমৃদ্ধ উপাদান। এই সাবানটি ব্যবহার করলে ত্বকের নানা রকম সমস্যা দূর হয়ে থাকে যেমন ব্রণের সমস্যা, ব্রণের কালো দাগ, ত্বকের মেছতার দাগ, ত্বক ড্রাই ও শুষ্কতার সমস্যা দূর করতে ভূমিকা পালন করে থাকে।

*Acne Aid BAR :

এই সাবানটি use করার ফলে ত্বকে ব্রণের জীবাণনুসমূহ মরে যেতে সাহায্য করে থাকে। ব্রণ ওঠা বন্ধ করে থাকে। ত্বকের লোমকূপ থেকে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। তখন হয়ে ওঠে কোমল ও মসৃণ এবং ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে থাকে।

কিটো সাবানের দাম :

কিটো সাবান হলো এমন এক ধরনের সাবান যা শরীরের সংক্রমণ ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। তাই এই সাবানটি চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কিটো সাবান ৫০ mg এর দাম =১২৩

কিটো সাবান ১০০ mg এর দাম =২৫০

এই সাবান ব্যবহারে নানা রকম উপকার পাওয়া যায় যেমন

*মুখের ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে।

*ঘামচি ও শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে থাকে।

*এলার্জি, খোস, পাঁচড়া, দাউদ, একজেমা ভালো করে থাকে।

*মেস্তা, কালো দাগ , ঘাড় ও পায়ের চিপায় কালো দাগ, চুল ঝরে পড়া হাত-পা ফাটা ইত্যাদি ভালো করতে সাহায্য করে থাকে।

পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা এলার্জির জন্য কোন ওষুধ ভালো - কোন সাবান শরীরের জন্য ভালো জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না এলার্জির জন্য কোন ওষুধ ভালো - কোন সাবান শরীরের জন্য ভালো সম্পর্কে জানতে পরলেন।