OrdinaryITPostAd

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ঔষধ খাব

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ঔষধ খাব এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ঔষধ খাব আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ঔষধ খাব শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ঔষধ খাব

এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ঔষধ খাব সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।

গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয় 

গর্ভাবস্থায় সর্দি ও কাশি হওয়া সাধারণত বাচ্চার জন্য কোনো বড় ক্ষতির কারণ হয় না। তবে, সর্দি-কাশির কারণে যদি মায়ের অসুস্থতা বেশি হয় বা যদি এ কারণে মায়ের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে, তাহলে তা বাচ্চার জন্য কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় সর্দি বা কাশি হলে সাধারণত তা বাচ্চার সরাসরি ক্ষতি করে না। তবে, কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:

১। মায়ের স্বাস্থ্য:

যদি সর্দি বা কাশি গুরুতর হয়, যেমন উচ্চ তাপমাত্রা বা দীর্ঘস্থায়ী জ্বর হয়, তাহলে মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। এতে করে গর্ভস্থ বাচ্চারও কিছু ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

২। দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব:
যদি সর্দি ও কাশি দীর্ঘদিন ধরে চলে, তবে তা মায়ের শক্তি এবং পুষ্টির উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা পরোক্ষভাবে গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৩। ইনফেকশন:

কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যদি সর্দি ও কাশি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারণে হয়, তাহলে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে ইনফেকশন গর্ভস্থ শিশুর জন্য ঝুঁকির কারণ না হয়।

৪। ড্রাগস ও মেডিসিন:

গর্ভাবস্থায় অনেক ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন। কিছু ওষুধ শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ নেয়া উচিত নয়।

সাধারণত, সর্দি বা কাশি হলে এটি গর্ভস্থ শিশুর উপর বড় কোনো প্রভাব ফেলে না, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং যদি কোন গুরুতর উপসর্গ দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

গর্ভাবস্থায় বুকে কফ জমলে করণীয় 

গর্ভাবস্থায় বুকে কফ জমলে আরাম পেতে নিচের কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন:

১। গরম পানি পান:

গরম পানি বা হারবাল চা (যেমন আদা চা) পান করা গলা ও বুকের কফ নরম করতে সহায়ক।

২। বাষ্প গ্রহণ:

গরম পানি থেকে উঠে আসা বাষ্প নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া বুকের কফ দূর করতে পারে। একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিয়ে মুখ ঢেকে বাষ্প শ্বাস নিন।

৩। গলা গরম রাখুন:

গলায় কফ জমলে লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। এটি গলার কফ কমাতে সহায়ক।

৪। বিশ্রাম নিন:

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। বিশ্রাম শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

৫। আর্দ্রতা বজায় রাখা:

বাড়ির বাতাস আর্দ্র রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।

৬। পুষ্টিকর খাবার খান:

পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং কফের সমস্যা কমে।

৭। হালকা ব্যায়াম:

হালকা ব্যায়াম, যেমন হাঁটাচলা বা সহজ যোগাসন, ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং কফ সরাতে সাহায্য করে। তবে গর্ভাবস্থার সময় ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৮। তাজা ফল ও সবজি খাওয়া:

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (যেমন কমলা, লেবু) এবং শাকসবজি খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক হতে পারে।

৯। গোল্ডেন মিল্ক (হলুদ দুধ):

দুধের মধ্যে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে কফ কমাতে পারে। হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে যা কফ দূর করতে সহায়তা করে।

১০। নাকের স্প্রে ব্যবহার:

স্যালাইন নাকের স্প্রে নাকের সর্দি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, যা বুকের কফ কমাতে পারে। এটি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

১১। মধু এবং আদা:

এক চামচ মধু ও আদার রস মিশিয়ে খেলে গলার কফ কমাতে সহায়ক হতে পারে। মধু ও আদায় প্রদাহ-বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী উপাদান থাকে যা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।

১২। অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ব্যবস্থা:

ধুলো, ধোঁয়া, এবং অ্যালার্জি উদ্দীপক উপাদান থেকে দূরে থাকুন, কারণ এগুলো কফের সমস্যা বাড়াতে পারে।

১৩। উপযুক্ত ঘুমের ভঙ্গি:

ঘুমানোর সময় মাথা একটু উঁচুতে রাখুন, এটি কফ জমে যাওয়া কমাতে সহায়ক হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কাশির সিরাপ খাওয়া যাবে কি 

গর্ভাবস্থায় কাশির সিরাপ খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কাশির সিরাপের উপাদান যেমন কোডাইন বা অন্যান্য অপিওইডস, অ্যান্টিহিস্টামিন এবং ডিকনজেস্টান্ট গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নাও হতে পারে।

তবে, কিছু ধরনের কাশির সিরাপ (যেমন, যেগুলো শুধুমাত্র গ্লিসারিন, মধু, বা কিছু নির্দিষ্ট হারবাল উপাদান ধারণ করে) অনেক সময় নিরাপদ হতে পারে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেগুলো গ্রহণ করা উচিত।

গর্ভাবস্থায় কাশির সিরাপ খাওয়ার বিষয়ে আরও কিছু বিবেচ্য বিষয় রয়েছে:

১। উপাদানের প্রভাব:

অনেক কাশির সিরাপে এমন উপাদান থাকে যা গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয়। যেমন:

* কোডাইন ও অন্যান্য অপিওইডস:

এগুলো শিশু এবং মায়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গর্ভাবস্থার সময় অপিওইডের ব্যবহারে শিশুর শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি এবং প্রসবের পর নবজাতকের প্রত্যাহার (withdrawal) উপসর্গ হতে পারে।

* ডিকনজেস্টান্টস (pseudoephedrine, phenylephrine):

এগুলো প্রথম ত্রৈমাসিকে গ্রহণ করলে কিছু জটিলতা, যেমন শিশুর জন্মগত ত্রুটি, হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

* অ্যান্টিহিস্টামিন:

কিছু অ্যান্টিহিস্টামিন গর্ভাবস্থায় নিরাপদ হলেও কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে।

২। প্রাকৃতিক বা হারবাল উপাদান:

এমনকি কিছু প্রাকৃতিক বা হারবাল উপাদানও গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নাও হতে পারে, কারণ সেগুলোর প্রভাব সম্পর্কে প্রায়ই পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি।

৩। সাধারণ পরামর্শ:

* জলের সঙ্গে গার্গল:

হালকা গরম জলে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে কাশির উপশম হতে পারে।

* বাষ্প গ্রহণ:

সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে গরম পানির বাষ্প গ্রহণ করাও সহায়ক হতে পারে।

* প্রচুর পানি পান:

পানি পান শরীরের হাইড্রেশন ধরে রাখে এবং কাশির কারণ হিসেবে শ্লেষ্মা জমা হলে তা দূর করতে সহায়ক হতে পারে।

৪। ডাক্তারের পরামর্শ:

কোনও ধরনের ওষুধ বা সিরাপ গ্রহণের আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনার গর্ভাবস্থার নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদ ওষুধের পরামর্শ দেবেন।

এভাবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবসময় পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় সর্দির ওষুধ খাওয়া যাবে কি 

গর্ভাবস্থায় সর্দির ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু সর্দির ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ হতে পারে, তবে কিছু ওষুধ গর্ভের শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সাধারণত প্যারাসিটামল ভিত্তিক ওষুধ সর্দি-কাশির জন্য নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে অন্যান্য ওষুধের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

গর্ভাবস্থায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়, যার ফলে সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে, গর্ভাবস্থায় ওষুধ গ্রহণে সতর্কতা প্রয়োজন কারণ কিছু ওষুধ গর্ভের শিশুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

যেসব ওষুধ সাধারণত নিরাপদ:

১। প্যারাসিটামল: সর্দি বা জ্বর কমানোর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। ২. স্যালাইন ন্যাসাল ড্রপ: নাক বন্ধ বা সর্দি সমস্যার জন্য ন্যাসাল ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। ৩. গরম পানির ভাপ: নাক ও গলার বন্ধভাব দূর করতে কার্যকরী।

যেসব ওষুধ এড়িয়ে চলা উচিত:

১। ইবুপ্রোফেন বা নাপ্রক্সেন:

গর্ভাবস্থায় এই ধরনের ওষুধ এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এগুলো গর্ভের শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে।

২। ডিকনজেস্ট্যান্টস (যেমন: পসুডোএফেড্রিন, ফেনাইলএফ্রিন):

প্রথম তিন মাসে এই ধরনের ওষুধ এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলো গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৩। অ্যান্টিহিস্টামিন: কিছু অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ নিরাপদ হতে পারে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই সঠিক পরামর্শ ছাড়া এড়িয়ে চলা উচিত।

কিছু সাধারণ পরামর্শ:

* সর্দি-কাশি হলে প্রচুর পানি পান করুন এবং বিশ্রাম নিন।

* সর্দি-কাশির তীব্রতা কমানোর জন্য গরম স্যুপ, মধু মেশানো গরম পানি ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করুন।

* সর্দি-কাশির জন্য কোনো প্রকার ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আপনার এবং আপনার গর্ভের শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত।

গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে 

গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে সরাসরি গর্ভস্থ শিশুর ঠান্ডা লাগে না। মায়ের শরীরে ঠান্ডা বা সর্দি-কাশি হলে গর্ভস্থ শিশু তার কোনো প্রভাব অনুভব করে না কারণ শিশুটি মায়ের রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি ও অক্সিজেন পায়, যা প্রভাবিত হয় না সাধারণ ঠান্ডার কারণে।

তবে, যদি মায়ের শরীরে সর্দি-কাশির সাথে জ্বর বা অন্য কোনো সংক্রমণ দেখা দেয়, তাহলে সেটা গর্ভস্থ শিশুর ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে। তাই মায়ের অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগা সাধারনত গুরুতর সমস্যা তৈরি করে না। তবে কিছু বিষয় মায়ের খেয়াল রাখা উচিত:

১। জ্বর: যদি ঠান্ডার সাথে জ্বর থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ উচ্চ তাপমাত্রা গর্ভস্থ শিশুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

২। ওষুধের ব্যবহার: কিছু ঠান্ডা প্রতিরোধক ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয়। তাই, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ নেওয়া উচিত নয়।

৩। বিশ্রাম এবং পুষ্টি: ঠান্ডা লাগলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সুষম খাদ্য খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৪। হাইড্রেশন: পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়ক এবং ঠান্ডার লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।

৫। বিশেষ যত্ন: কিছু ক্ষেত্রে ঠান্ডা প্রতিরোধক উপায় যেমন :গরম পানির সেঁক, গার্গল বা গরম চা গর্ভবতী মায়ের জন্য নিরাপদ হতে পারে। তবে, সব ধরনের হোম রেমেডি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

গর্ভাবস্থায় শরীরের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া জরুরি, তাই কোনো ধরনের সমস্যা হলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে 

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাশি হলে কিছু সতর্কতা ও ঘরোয়া প্রতিকার মেনে চলতে পারেন:

১। ভেজা কাপড়ে বাষ্প নেওয়া:

গরম পানির বাষ্প নিলে শ্বাসনালীর কফ কমে এবং কাশির আরাম পাওয়া যায়।

২। গরম চা বা পানীয় পান করা:

আদা চা, মধু মেশানো গরম পানীয় বা তুলসি পাতার চা কাশির উপশমে সহায়ক হতে পারে।

৩। হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা:

ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা বাড়াতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। শুষ্ক বাতাস কাশি বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪। লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করা:

লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলা পরিষ্কার হয় এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়।

৫। বিশ্রাম নেওয়া:

পর্যাপ্ত বিশ্রাম কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার উপশমে সহায়তা করতে পারে।

৬। প্রচুর পানি পান করা:

পানি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং শ্বাসনালীর শুষ্কতা কমায়। গরম পানি বা হালকা গরম স্যুপও কাশির উপশমে কার্যকরী হতে পারে।

৭। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া:

ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। কমলা, লেবু, আমলকী ইত্যাদি ফল খাওয়ার মাধ্যমে এই ভিটামিন পাওয়া যায়।

৮। আর্দ্র ও তাজা বাতাসে থাকা:

ঘরের ভিতরে তাজা বাতাস প্রবাহিত রাখা এবং ধুলা-ময়লা ও ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

৯। কফ সিরাপ এড়িয়ে চলা:

গর্ভাবস্থায় কফ সিরাপ বা কোনো প্রকার ওষুধ নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিছু কফ সিরাপে এমন উপাদান থাকতে পারে যা গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর হতে পারে।

১০। উষ্ণ জলে স্নান করা:

গরম পানিতে স্নান করলে শরীরের পেশি শিথিল হয় এবং বাষ্পের মাধ্যমে শ্বাসনালীর সমস্যা কমে।

১১। সতর্কভাবে খাবার নির্বাচন করা:

অতিরিক্ত ঝাল ও মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলো গলা এবং পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এছাড়া, যদি আপনার কাশি ৭ দিন বা তারও বেশি স্থায়ী হয়, বা যদি কাশির সাথে রক্ত আসে, শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, বা বুকের ব্যথা হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এই সময়ে আপনার ও আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ঔষধ খাব 

গর্ভাবস্থায় কাশি হলে ঔষধ গ্রহণ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ সব ঔষধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয়। তবে কিছু সাধারণ ওষুধ যা গর্ভাবস্থায় নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়:

ঔষধের নাম এবং কাজ :

১। প্যারাসিটামল (Paracetamol/Tylenol):

হালকা ব্যথা ও জ্বরের জন্য নিরাপদ।

২। ডেক্সট্রোমেথরফান (Dextromethorphan):

কিছু কাশির সিরাপে থাকে এবং এটি সাধারণত গর্ভাবস্থায় নিরাপদ বিবেচিত হয়।

৩। গুয়াইফেনেসিন (Guaifenesin):

মিউকাস পাতলা করার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এটি কিছু কফের সিরাপে থাকে। গর্ভাবস্থায় এটি ব্যবহারে সাধারণত ঝুঁকি কম।

৪। Chlorpheniramine (Chlor-Trimeton):

অ্যান্টিহিস্টামিন হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

৫। Diphenhydramine (Benadryl):

অ্যান্টিহিস্টামিন এবং কাশির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা কাশির উপসর্গ উপশমে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৬। Loratadine (Claritin) বা Cetirizine (Zyrtec):

অ্যালার্জি বা সর্দি-কাশির জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিহিস্টামিন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়।

৭। Saline nasal spray (সলাইন নাসাল স্প্রে):

নাকের কনজেশন বা বন্ধভাব দূর করতে ব্যবহৃত হয়, যা গর্ভাবস্থায় নিরাপদ।

৮। Honey and hot water (মধু ও গরম পানি):

মধু প্রাকৃতিক কাশির ওষুধ হিসেবে কাজ করতে পারে এবং গলা নরম রাখে।

৯। Throat lozenges (থ্রোট লজেন্স):

গলা ব্যথা বা কাশি কমাতে মেন্টল বা ইউক্যালিপটাসযুক্ত লজেন্স বা প্যাস্টিল ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:

গর্ভাবস্থায় ঔষধ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে:

* সব ধরনের ওষুধ গ্রহণের আগে একজন প্রসূতি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

* কোনও ওষুধ শুরু করার আগে গর্ভাবস্থার বর্তমান পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত করুন।

গর্ভাবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে ডাক্তার বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ গ্রহণ করবেন না।

গর্ভাবস্থায় শুকনো কাশি হলে কি ঔষধ খাব :

গর্ভাবস্থায় শুকনো কাশি হলে ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ গর্ভাবস্থায় কিছু ওষুধ ক্ষতিকর হতে পারে।

তবে কিছু সাধারণত নিরাপদ বিবেচিত ওষুধের নাম উল্লেখ করতে পারি, যেমন:

১। ডেক্সট্রোমেথোরফ্যান (Dextromethorphan) :

এটি একটি সাধারণ কাশি কমানোর ওষুধ, যা গর্ভাবস্থায় প্রায়শই নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়।

২। গুয়াইফেনেসিন (Guaifenesin) :

এটি একটি কফ নিরোধক যা কফকে পাতলা করে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।

৩। হানি (Honey) :

প্রাকৃতিকভাবে কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটিও ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

৪। ডিপেনহাইড্রামিন (Diphenhydramine):

এটি অ্যান্টিহিস্টামিন হিসাবে কাজ করে এবং গর্ভাবস্থায় সাধারণত নিরাপদ বিবেচিত হয়।

৫। ক্লোরফেনিরামিন (Chlorpheniramine):

এটি কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করা উচিত।

৬। লোকাল অ্যান্টিসেপটিক লজেঞ্জ বা স্প্রে (Local Antiseptic Lozenges or Sprays):

ক্লোরহেক্সিডিন বা বেনজোকেইনযুক্ত কিছু গার্গল বা স্প্রে ব্যবহার করলে গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় শুকনো কাশি হলে ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়ও অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে যেকোনো ধরনের চিকিৎসা শুরু করার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় শুকনো কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়:

১। গরম পানীয় পান করা:

গরম পানি, মধু মেশানো গরম চা বা আদা চা কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এগুলো গলা নরম রাখতে এবং আরাম দিতে সহায়ক।

২। লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা:

কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা ও কাশি কমতে পারে।

৩। বাষ্প গ্রহণ:

গরম পানির বাষ্প গ্রহণ করলে গলা ও নাসারন্ধ্রের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা কাশির প্রবণতা কমায়।

৪। হিউমিডিফায়ার ব্যবহার:

ঘরের বাতাস আর্দ্র রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে, যা শুকনো গলার কাশি কমাতে সহায়ক।

৫। পর্যাপ্ত বিশ্রাম:

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং হাইড্রেট থাকা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

৬। গোলমরিচ ও মধু:

এক চামচ মধুর সাথে সামান্য গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে কাশি কমতে পারে।

যেহেতু গর্ভাবস্থায় ওষুধের প্রভাব আলাদা হতে পারে, তাই কোনও ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ।

শেষ কথা: গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ঔষধ খাব

পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা পিলখানা হত্যা কেন হয়েছিল - পিলখানায় নিহতদের তালিকা জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না পিলখানা হত্যা কেন হয়েছিল - পিলখানায় নিহতদের তালিকা সম্পর্কে জানতে পারলেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪